বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করেই পুকুর ভরাট করলেন কুলাউড়ার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের মনিরুল ইসলাম নামের এক প্রবাসী। সাথে কয়েক শত আগর গাছ নিধণ করা হয়েছে। বিষয়টি প্রতিবেশিরা প্রতিবাদ করলে রাস্তায় চলাচলে বাধা ও প্রাণনাশের হুমকি দেন এ প্রবাসী। ওইস্থানে ১৪৪ ধারা জারি করতে কোর্টের ধারস্তহন সেলিম আহমদ চৌধুরী নামের প্রতিবেশি। বিষয়টির তদন্তক্রমে প্রতিবেদন পাঠাতে কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে নির্দেশ দেন মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা ম্যজিস্ট্রেট আদালত। তবে বাদী পক্ষের অভিযোগ সহকারী কমিশনার ভূমি মনগড়া তদন্ত রিপোর্ট আদালতে পাঠিছেন, শেষ পর্যন্ত আদালত সে রিপোর্ট নাখজ করে দেয়।
আদালতের মামলা সূত্রে জানা যায়, ১১৮ জে এল স্থির ইউসুফ সদর মৌজার নামজারী ১হাজার ৩৩ খতিয়ানের, দাগের ৮৮৬, ৮৯১, ৮৮০, ৮৮৫, ৮৯২, আর এস দাগ নং- ৯১৫, ৯১৬ মধ্যে পুকুর ৩৩ একর এবং বাড়ী রয়েছে ৪১ একর। এ পুকুর এবং রাস্তা যৌত ব্যবহার করছেন সেলিম আহমদ চৌধুরী ও মনিরুল ইসলাম চৌধুরী। এমনকি পুকুর ও একটি রাস্তা এ বাড়ির একমাত্র যাতায়াতের মাধ্যম। কিন্তু হঠৎই আইনি নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ৩৩ একর পুকুরের সিংহভাগ ভরাট করেছেন মনিরুল ইসলাম। বিষয়টি প্রতিবেশি সেলিম আহমদের পরিবার হতে আপত্তি জানালে ভারাটে লোকজন দিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে পুকুর ভরাট সম্পন্ন করেন মনিরুল ইসলাম।
এদিকে ১৯৫১ সালের পরিবেশ আইন অনুযায়ী কোন মৎস উৎপাদনকারী পুকুর, দীঘি পরিবেশ ও মৎস অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া ভরাট করা যাবে না। কিন্তু এ বিধির কোন নীতি তোয়াক্কাই করেননি মনিরুল ইসলাম।
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-‘আমার পুকুর আমি ভরাট করেছি। আমার সুবিধার জন্য।’
স্থানীয় চেয়ারম্যান নবাব আলী বাকর খান বলেন- পুকুর ভরাট পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর।
Posted ৩:৫৯ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.