জয়নাল আবেদীন,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭ | প্রিন্ট
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন উপজেলাসহ কমলগঞ্জে দীর্ঘ অনাবৃষ্টির পর এ সপ্তাহে দফায় দফায় বৃষ্টিতে চা শিল্পের আশীর্বাদ হিসাবে দেখা দিয়েছে। বিগত বছরের চলতি বছরেও চায়ের বাম্পার ফলনের প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। এ বছরের চলতি চা মওসুমের মাঝামাঝি দফায় দফায় গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে চায়ের বেশি উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চা শ্রমিক কর্মচারীরাও কর্মব্যস্ত রয়েছেন সবসময়।
জানা যায়, দীর্ঘ প্রায় পাঁচ মাস অনাবৃষ্টির কারনে চা বাগানের টিলায় সেচের প্রয়োজন দেখা দেয়। এ সময় দেখা গেছে অনেক স্থানে সেচের সুবিধা না থাকায় চা গাছে লালচে রং ও মাকড়সার আক্রমন শুরু হয়েছিল। চায়ের মৌসুম শুরু হওয়ার পর ২২ ফেব্রুয়ারী কমলগঞ্জে প্রথম দফা বৃষ্টির ফলে চা গাছে কিছু উপকার বয়ে আনে। কাটিং করা চা গাছে শুরু হয় দ্রুত কঁচি গজাতে।
পরবর্তীতে ৬ মার্চ ভারী বৃষ্টির কারনে চা শিল্পের জন্য আশীর্বাদ দেখা দেয়। অনাবৃষ্টির ফলে উদ্বেগ উৎকন্ঠার মধ্যে মওসুম শুরুর পর পরই হঠাৎ বৃষ্টিপাতকে অত্যন্ত ইতিবাচকভাবেই মনে করছেন চা বাগান সংশ্লিষ্টরা। বৃষ্টির দু’চারদিন পর থেকেই কয়েক বাগানে বিভিন্ন ধাপে শুরু হয় চা পাতা উত্তোলন। চা পাতা উত্তোলনে পর সম্প্রতি সময়ে উৎপাদনও শুরু করেছে কয়েকটি চা বাগান। ফলে গত বছরগুলোর উৎপাদনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদী। তাদের দাবি আবহাওয়া অনুকূল থাকলে এবছরও উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে।
শ্রীমঙ্গলস্থ আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ ১৯ মার্চ ৩২ মিলিমিটার ও ২১ মার্চ ৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়।
অনুসন্ধানে জানা যায়, ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কে চা উৎপাদন মওসুম ধরা হয়। তাই ৩১ ডিসেম্বর চা পাতা উত্তোলনে মওসুম শেষ হয়ে গেলে চা গাছগুলোকে (কার্টিং) ছেঁটে ফেলা হয়। এ সময় দুই মাস চা উৎপাদন বন্ধ থাকে। এই ২ মাসে নতুন কুঁড়ি গজালে মার্চ থেকে নতুন চা পাতা উত্তোলন শুরু হয়। চা পাতা চয়নের প্রারম্ভিক সময়টিতে বাগানে বাগানে উৎসবের আমেজে থাকেন চা শ্রমিকেরা।
সংবাদমেইল২৪.কম/জয়নাল/এনএস
Posted ১:০৮ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.