মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের নতুন করে বই-খাতা ও আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দিবে সরকার

বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭ | প্রিন্ট  

বন্যাদুর্গত এলাকার শিক্ষার্থীদের নতুন করে বই-খাতা ও আগামী ফসল না ওঠা পর্যন্ত খাদ্য সহায়তা দিবে সরকার

বন্যা দুর্গত এলাকায় এনজিওর কিস্তি আদায়ে জুলুম না করার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রোববার দিনাজপুরে বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ নির্দেশ দেন।


এনজিওগুলোর উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যাদের আপনারা লোন দিয়েছেন তারা সাপ্তাহিক কিস্তি তোলার জন্য বন্যার্ত মানুষদের জুলুম করবেন না। এটা এনজিওদের প্রতি আমার নির্দেশ থাকবে।”

প্রধানমন্ত্রী বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন এবং ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের জন্য দিনাজপুর ও কুড়িগ্রাম সফরে এসেছেন।


জনতার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশে পর্যাপ্ত খাদ্য মজুদ রয়েছে। আপনারা চিন্তা করবেন না। আওয়ামী লীগ বিজিবি, সেনাবাহিনী, পুলিশবাহিনী সবাই ত্রাণ বিতরণ করছে। গৃহহারা মানুষের ঘর-বাড়ি করে দিচ্ছি। বন্যায় যাদের ঘর-বাড়ি নষ্ট হয়েছে, তাদের ঘর-বাড়ি করে দেয়া হবে। একটি মানুষও যাতে না খেয়ে মারা না যায়, গৃহহীন না থাকে আমরা তার ব্যবস্থা করেছি। কৃষকের ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে দেয়ার জন্য সব ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।”

প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আগামী ফসল ওঠা পর্যন্ত তিন মাস বন্যার্ত মানুষের জন্য সরকারের খাদ্য সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে । “বন্যা দুর্গত প্রতিটি মানুষ যাতে খাদ্য পায় আমরা সেই ব্যবস্থা করছি এবং আমরা সেটা অব্যাহত রাখব।”


সরকার দেশের ৫০ লাখ মানুষকে ১০ টাকা কেজি দরে চাল দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “প্রতিটি বন্যার্ত মানুষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছবে, আমাদের ওপর বিশ্বাস রাখুন।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বন্যায় যেসব শিক্ষার্থীর বই-খাতা বন্যার পানিতে ভেসে গেছে, তাদের নতুন বই-খাতা দেয়া হবে।

এসময় তিনি আবেগ আপ্লুত কণ্ঠে বলেন, “আমি বাবা-মা, ভাই-বোন সব হারিয়েছি। আমার আর হারাবার কিছু নেই। আমার বাবা দেশের জন্য জীবন দিয়েছেন। আমি দেশের মানুষের জন্য আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। প্রয়োজনে আপনাদের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য আমিও জীবন দেব।”

তিনি বলেন, “বন্যা-দুর্যোগ এসব থাকবে। এসবের সঙ্গে মোকাবেলা করেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে। সেই পরিকল্পনা নিয়ে সরকার এগিয়ে যাচ্ছে।”

শেখ হাসিনা বন্যাদুর্গত এলাকা পরিদর্শন করতে সকালে দিনাজপুরে পৌঁছেন। সকাল সাড়ে ১০টায় তিনি বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে করে দিনাজপুর গোর-এ শহিদ বড় ময়দানে নামেন।

প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর ও কুড়িগ্রামের বন্যা দুর্গত এলাকা পরির্দশন এবং ত্রাণ বিতরণ করবেন।

বক্তব্য শেষে প্রধানমন্ত্রী দিনাজপুর সদরে জিলা স্কুল আশ্রয়কেন্দ্র এবং বিরলের ফারাক্কা বাঁধ ইউনিয়নে তেঘরা উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বন্যার হানার সঙ্গে সরকার খাদ্য আমদানি শুরু করেছে এবং দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুদ রয়েছে।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান, আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, হুইপ ইকবালুর রহিম, সংসদ সদস্য খালিদ মাহমুদ চৌধুরী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

সংবাদমেইল/জেএইচজে

 

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৪:২৬ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২০ আগস্ট ২০১৭

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত