মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা ‘অনুপ্রবেশকারী

বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮ | প্রিন্ট  

পুলিশের গাড়িতে হামলাকারীরা ‘অনুপ্রবেশকারী

পুলিশের গাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও প্রিজনভ্যান থেকে আটক দুই ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় জড়িতরা অনুপ্রবেশকারী বলে মন্তব্য করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা দিয়ে ফেরার পথে হাইকোর্টের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।


জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় হাজিরা দিয়ে গুলশানের বাসায় ফেরার পথে হাইকোর্ট এলাকায় এই হামলা চালানো। এর পর তারা প্রিজনভ্যানে উঠে পুলিশের হাতে আটক দুজনকে ছিনিয়ে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন ডিএমপির রমনা বিভাগের উপকমিশনার মারুফ হোসেন সরদার। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ৬৯ জনকে গ্রেপ্তার করে।

এ ঘটনায় রমনা ও শাহবাগ থানায় বিশেষ আইনে ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে তিনটি মামলাও হয়েছে।


এর পরই রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটক এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতকে তুলে নেয়ার অভিযোগ করা হয় বিএনপির পক্ষ থেকে। অমিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তরিকুল ইসলামের ছেলে।

মধ্যরাতের পর থেকে বিএন‌পির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, যুগ্ম মহাস‌চিব হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবুর বাসায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি চালায় বলে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে। তল্লাশি চালানোর সময় তিন নেতার কেউ বাসায় ছিলেন না।


এসব পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার জরুরি সংবাদ সম্মেলনে আসেন বিএনপির মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘‘বলা হচ্ছে, পুলিশের ভ্যান থেকে দুজনকে ছিনিয়ে নেয়া হয়েছে। কারা এই হামলা চালিয়েছে, তাদের আমরা চিনতে পারছি না। আমরা আশঙ্কা করছি, তারা অনুপ্রবেশকারী। তাদের সম্পর্কে আমরা কোনো কিছু জানি না। আমরা ধারণা করছি, নাশকতার করার জন্য তারা এটা করেছে।’’

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘‘যখনই মানুষ নির্বাচন চায়, তখনই এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়। সরকার এসবের মধ্য দিয়ে পরিস্থিতিকে ঘোলাটে করছে। এর পেছনে মূল কারণ হচ্ছে, যাতে গায়ের জোরে ক্ষমতায় থাকা যায়।’’

তিনি আরো বলেন, ‘‘সবচেয়ে শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, তাদের অবস্থান এখনো পুলিশ নিশ্চিত করেনি। তারা কোথায় আছে পরিবার জানে না। গতকাল গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আটকের পর তার বেয়াই ও পুত্রবধূ তার সঙ্গে দেখা করার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের দেখা করতে দেওয়া হয়নি।’’

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে। আদালত আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি রায়ের দিন ঘোষণা করেছেন। এ মামলায় খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৬:৪১ অপরাহ্ণ | বুধবার, ৩১ জানুয়ারি ২০১৮

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত