স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭ | প্রিন্ট
নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদ (হুজি) নেতা দেলোয়ার হোসেন রিপনের দাফন কাজ বুধবার মধ্যরাতেই সম্পন্ন হয়েছে।
কড়া নিরাপত্তায় বুধবার রাত ১টা ৪০ মিনিট মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার ব্রাম্মণবাজারের কোনাগাঁও গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে রিপনের দাফন সম্পন্ন হয়।
এরআগে বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে রিপনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। ১০টা ৫০ মিনিটে রিপনের লাশ নিয়ে কুলাউড়ার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়া হয়।
রাত ১২ টা ১৫ মিনিটে অ্যাম্বুলেন্সে করে পুলিশ পহরায় রিপনের মরদেহ কোনাগাঁও গ্রামে নিয়ে আসা হয়। সেখানে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে রাত ১টা ২৫ মিনিটে তার জানাযার নামাজ ও ১টা ৪০ মিনিটে দাফন সম্পন্ন হয়।
রিপনের জানাজার নামাযে ইমামতি করেন কোনাগাঁওজামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মো. ইব্রাহিম।
এদিকে রাতে রিপনের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পৌছলেও পরিবারের সদস্য ও কয়েকজন ঘনিষ্টস্বজন ছাড়া কাউকে কাছাকাছি যেতে দেয়নি পুলিশ। ওই এলাকায় কঠোর নিরাপত্তা জোরদারের জন্য বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়ন করা হয়।
প্রশাসনের ব্যাপক নজরদারিতে গ্রামের বাসিন্দারাও ভয়ে ঘর থেকে বের হননি।
প্রসঙ্গত, সিলেটে শাহজালাল (রহ.) এর মাজারের প্রধান ফটকে ২০০৪ সালের ২১ মে তৎকালীন ব্রিটিশ হাইকমিশনার আনোয়ার চৌধুরীর উপর গ্রেনেড হামলা হয়। হামলায় ৩ জন নিহত ও আহত হন ৭০ জন। এ মামলায় ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর মুফতি হান্নান, শরীফ শাহেদুল ওরফে বিপুল, দেলওয়ার ওরফে রিপনকে মৃত্যুদন্ড এবং মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমান ও আবু জান্দালকে যাবজ্জীবন দন্ড দেন সিলেট দ্রুত বিচার আদালত।
রায়ের বিরুদ্ধে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্তরা আপিল করলেও পূর্বের রায় বহাল রাখেন হাইকোর্ট। পরে আসামিদের আপিল ২০১৬ সালের ৭ ডিসেম্বর খারিজ হওয়ার পর ১৭ জানুয়ারি পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে ২০১৭ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারী আসামিরা রিভিউ আবেদন করলে ১৯ মার্চ তা খারিজ হয়। ২১ মার্চ রিভিউ খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরদিন দেলওয়ার ওরফে রিপনের রিভিউ আবেদন খারিজের পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে এসে পৌঁছায়। ২৭ মার্চ রিপন রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন করেন। কিন্তু রাষ্ট্রপতি তাদের আবেদন খারিজ করে দেয়ায় বুধবার রাত ১০টা ১ মিনিটে ফাঁসি কর্যকর হয়।
সংবাদমেইল২৪.কম/এনআই/জেএইচজেড
Posted ৩:০৭ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১৩ এপ্রিল ২০১৭
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.