সৈয়দ আজিজুল ইসলাম: | মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮ | প্রিন্ট
প্রতিদিন কয়েকশ মানুষ কুলাউড়া টু সিলেট বাস যাতায়াত করে থাকেন। আমাকেও করতে হয়। কিন্তু যাত্রীদের ধৈর্যর একটা সীমা আছে। বছরের পর বছর ধরে ফিটনেস বিহীন গাড়ি চলছেই।
কুলাউড়া টু সিলেটের ছোট বাস তারপর সিটে বসলে আপনার হাটু আপনার সামনের সিটের পেছনের অংশে এমন ভাবে শক্ত হয়ে লাগবে টানা ২ ঘন্টা জার্নি করা আপনার জন্য অসস্থিতকর লাগবে। তারপর জানালার পাশে যিনি বসলেন উনার পাশে বসলে আপনি সিটের ৩ ভাগের ১ ভাগেই বসবেন। যখন চালক টার্নিং পার করবেন তখন একজন আরেকজন কে নিয়ে বাসের ফ্লোরে ধপাস করে পড়ার সম্ভাবনা শতভাগ ।
এছাড়া মাঝপথে চাকা খুলে যাওয়া,চাকার বাতাস বের হয়ে যাওয়া, ব্রেকে কাজ না করা স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই একই সমস্যা কুলাউড়া টু মৌলভীবাজার রোডে রয়েছে। দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বেশিই। অনেক সময় দেখতে খারাপ লাগে যখন দেখি বৃদ্ধ- অসুস্থ রোগীদের এরকম নাজেহাল হতে হয়। তার উপর দেখবেন যেখানে সেখানে ব্রেক ধরে অতিরিক্ত যাত্রী তুলতে। সিট আছে বলে ওদের বাসে তুলবে তারপর বলবে সিট দিচ্ছি এইবলে আপনি চলে আসবেন আপনার গন্তব্যে। অতিরিক্ত যাত্রীর চাপে আপনার যখন দম বন্ধ হয়ে আসার উপক্রম হবে বিশেষকরে গ্রীষ্মকালে। তখন বমি বমি ভাব,মাথা ধরা স্বাভাবিক। এরপর রাস্তাঘাটের কথা নাই বললাম!
আমাদের কুলাউড়া থেকে ভোরবেলা উপবন,উদয়ন সিলেটের উদ্দেশ্য ছেড়ে যায়। কিন্তু এখানে অনেক ছাত্রছাত্রী, অফিসের কর্মকর্তা -কর্মচারী প্রতিদিন সিলেটের উদ্দেশ্য ভ্রমণ করে। এই সময়ে সবার সিলেট যাওয়া সম্ভব না। দুপুর ১১.৪০মিনিটের দিকে পারাবত ছেড়ে গেলেও তা অসংখ্য যাত্রীর চাপে দাঁড়িয়ে যাতায়াত করা সবার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠে না।
সকালবেলা ৭-৮ টার দিকে ডেমুর মত ট্রেন সার্ভিস যদি কুলাউড়া টু সিলেট থাকত তাহলে কয়েকশ মানুষের উপকার হত। আবার বিকেলবেলা ৫-৬ টার দিকে একই সময়ে সিলেট টু কুলাউড়া ট্রেন সার্ভিস থাকলে ছাত্রছাত্রী ও অফিসিয়াল ব্যক্তিদের জন্য সুবিধা হত। আমরা পরিত্রাণ চাই।
যখন নির্ধারিত ন্যায্য ভাড়া দিয়ে যাচ্ছি তখন উন্নত বাস সুবিধা পাওয়ার অধিকার রাখি আমরা। পুরাতন বাস আর ছোট ছোট সিট তার উপর যেখানে সেখানে দাঁড়িয়ে অতিরিক্ত যাত্রী বাসে তুলা কোনটাই আমরা মেনে নিতে পারি না। বিশেষ করে সকাল বেলা ২-১ টি ভাল বাস প্রয়োজন। ভালো বাস, আরামদায়ক কমফোর্টেবল সিট এবং ৩-৪ টা নির্ধারিত স্থানে যাত্রী তুলার ব্যবস্থা করা উচিত।
মালিকদের পুরাতন লকাল বাস দিয়ে ২ ঘন্টার জার্নি চাই না।যাত্রীদের অসুবিধার কথা চিন্তা করে তাদের সুবিধার্থে বাসসার্ভিস উন্নত করা উচিত। কুলাউড়া সবদিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যেহেতু সেখানে পরিবহন ব্যবস্থায় পিছিয়ে থাকা মোটেই কাম্য নয়। আশা করি যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে বাসমালিকরা কার্যকর ভূমিকা পালন করবেন।
লেখক- ছাত্র,সিলেট মদন মোহন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ।
Posted ৯:৩০ অপরাহ্ণ | মঙ্গলবার, ১০ জুলাই ২০১৮
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.