মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

চাঁদা না দেয়ায় দোকানে তালা দিলেন কমলগঞ্জ ছাত্রলীগ সভাপতি

বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭ | প্রিন্ট  

কমলগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসায়ী, সন্ত্রাসী ও গাছ চোরাকারবারে নেতৃত্বদানসহ আরো বিভিন্ন অভিযোগ এনে বৃহস্পতিবার দুপুরে মৌলভীবাজার প্রেস ক্লাবে কমলগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা ও উপজেলার তিলকপুর গ্রামের ব্যবসায়ী মো. মিছির আলীর ছেলে মিজানুর রহমান শিবলু সংবাদ সম্মেলন করেন। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ১২ই অক্টোবর কমলগঞ্জ উপজেলা সদরের চৌমুহনী পয়েন্টে তার বাবার মালিকনাধীন ‘শিবির এন্ড শিবলু’ মটর এন্ড ইলেক্ট্রনিক্সের দোকানে এসে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি ১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে ২ দিনের সময় বেঁধে দেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা আদায় করতে না পারায় ১৪ই অক্টোবর সভাপতি রিপুল তার গ্রুপের নেতাকর্মীদের নিয়ে দোকানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। এ বিষয়ে শিবলু থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করলেও পুলিশ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে জানান। তিনি আরো বলেন, দোকান খোলার জন্য আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাদের দরজায় ধরনা দিলেও কেউ আমার পরিবারকে সহযোগিতা করেননি। এলাকার নিরীহ ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে নিয়মিত চাঁদা আদায় ও তাদের হুমকি দিয়ে থাকেন সভাপতি। এটা তার পেশা ও নেশায় পরিণত হয়েছে বলে তার অভিযোগ। শিবলু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় ছাত্রলীগ সভাপতি রিপুলের দাদা মুছিম উল্লাহ নিজ হাতে ইসহাক মিয়াকে গুলি করে হত্যা করেন। তিনি রাজাকারের নাতি। এ বিষয়ে কারো সহযোগিতা না পেয়ে গত ১৭ই অক্টোবর রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ঘটনার বিবরণসহ একটি স্ট্যাটাস দেন মিজানুর রহমান শিবলু। প্রশাসন ও দলীয় নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে অসহায়ত্বের কথা প্রকাশ করেন তিনি। সমাধান না পেলে আত্মহত্যার কথাও উল্লেখ করেন ওই স্ট্যাটাসে। এর পর পরই রিপুলের নির্দেশে তার দলের অন্যতম সন্ত্রাসী রাসেল, তারেক, তোয়েল, সায়েমসহ তার বড়ভাই শিবির আহমদ অস্ত্র দিয়ে ধাওয়া করে। ওই সময় সে প্রাণভয়ে থানায় আশ্রয় নিয়ে আত্মরক্ষা করে। এমতাবস্থায় তার পরিবার উদ্বেগ-উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছেন। ইসলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হান্নান বলেন, বিষয়টি সমাধানের জন্য আগামী শনিবার বিকাল ৪টায় বিচারের দিন ধার্য করার পরেও সে আমাদের কথা না মেনে সংবাদ সম্মেলন করেছে। পৌর মেয়রকে সঙ্গে নিয়ে বৃহস্পতিবার তার বাবার দোকান খুলে দিতে গেলেও তার বাবা বলেন বিচারের পরে খুলবেন। এ বিষয়ে জানতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান রনির মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাহাত ইমতিয়াজ রিপুল বলেন, তার উপরে আনীত অভিযোগগুলো সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে বলেন, ছাত্রসমাজের কাছে ছাত্রলীগকে হেয় করতে পরিকল্পিতভাবে এটি করা হচ্ছে।

Facebook Comments Box


Comments

comments

advertisement

Posted ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ | শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০১৭

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত