বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়ন থেকে জনি বেগম (২২) নামক অপর এক গৃহবধুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার পর থেকে গৃহবধুর স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকি (৩৫) পলাতক রয়েছে।
এদিকে ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের নওয়াগাঁও থেকে শনিবার ২৭ এপ্রিল রাত আনুমানিক ১১ জনি বেগম (২২) নামক এক গৃহবধুকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুসলিম এইড কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত গৃহবধুর চাচা সাইস্তা মিয়া ঘটনাকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড দাবি করে থানায় মামলা দায়ের করবেন বলে জানান।
গৃহবধুর চাচা সাইস্তা মিয়া অভিযোগ করেন, জনি বেগমের স্বামী সাইদুল ইসলাম লাকির সাথে জনি বেগমের বিয়ের এক দেড় বছর পর থেকেই শুরু হয় সম্পর্কে টানাপোড়েন। যৌতুকের দাবিসহ কারণে অকারণে নির্যাতন চালাতো। ২৬ এপ্রিল জনি বেগমকে মারপিট করে এবং মৌলভীবাজার জেনারেল হাসপাতাল নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়। মৃত্যুর আগে জনি বেগমের হাতে সেলাইন এবং প্রস্রাবের রাস্তায় কেথেটার লাগানো ছিলো। মৃত্যুর পর সেগুলো তার ননদ মুক্তা লাশ থানায় আনার আগেই খুলে ফেলে। মুক্তা ব্রাহ্মণবাজারের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে কাজ করেন।
কুলাউড়া থানা পুলিশ এঘটনায় নিহত গৃহবধুর শ্বশুড় কাইয়ুম মিয়া, শ্বাশুড়ী মমতাজ বেগম, ননদ মুক্তা ও দেবর মাহিনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে। নিহত গৃহবধু জনি বেগমের বাবার বাড়ি সিলেটের বালাগঞ্জ থানার পূর্বগৌরিপুর ইউনিয়নের কায়েস্থঘাট গ্রামে।
মেয়ের বাবা আবুল কালাম আজাদ জানান, আমার মেয়েকে গলাটিপে হত্যা করা হয়েছে। নাজমুস সাকিব নামে তার আড়াই বছরের এক ছেলে রয়েছে।
কুলাউড়া থানার এসআই মাসুদ জানান, সুরতহাল রিপোর্টে গৃহবধুর ঘাড়ের দু’পাশে রক্ত জমাটের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের পরিবার অভিযোগ দিলে মামলা নেয়া হবে। নিহত গৃহবধু জনি বেগমের স্বামীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
কুলাউড়া থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্তী জানান, ঘটনা রহস্যজনক। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
Posted ৮:১২ অপরাহ্ণ | রবিবার, ২৮ এপ্রিল ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.