স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২০ | প্রিন্ট
সুদখোরদের ফাঁদে পড়ে অনেকেই আজ নি:স্ব। অনেকে হয়েছেন ভিটেমাটি ছাড়া। অনেকেই আবার সুদখোরদের ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। নানা আতঙ্কে ভুক্তভোগীরা প্রকাশ্যে কথা বলতে পারছেন না।
কুলাউড়া উপজেলার ২৮ জন সুদখোরদের নাম ঠিকানা উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি বরাবর আবেদন করেছেন মুহিত মিয়া নামক এক ব্যক্তি। সেই আবেদনের কপি প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর ছাড়াও কুলাউড়ার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, সরকারকে ফাঁকি দিয়ে চলা সুদে কারবারি, অনুমোদনহীন এনজিও, সমবায় সমিতি ও সরকার অনুমোদিত ব্যাংকিং সিস্টেম ছাড়া পরিচালিত প্রতিষ্ঠান ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনাকারীরা সুদখোরের আওতায় পড়বে। ইতোমধ্যে সুদখোরদের তালিকা প্রস্তুত শুরু হয়েছে এবং দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে সুদখোরদের ধরতে মাঠে নামছে প্রশাসন। পুলিশ হেড কোয়াটার্সের নির্দেশনায় ইতোমধ্যে কাজও শুরু হয়েছে।
ডিআইজি বরাবরে প্রেরিত আবেদনে মুহিত মিয়া উল্লেখ করেন, “তালিকাভূক্ত সুদখোরগন কুলাউড়ার নিরিহ, অসহায় জনগনকে ভিটেমাটি ছাড়া করছে। অনেকেই সুদখোরদের ভয়ে বাড়ি-ঘর ছাড়া। এসব সুদখোরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করলে কুলাউড়াবাসী উপকৃত হবে। মুহিত মিয়ার এই আবেদনের সাথে উপজেলার ২৮ জন সুদখোরদের নাম-ঠিকানা এবং কয়েকটি পত্রিকার প্রিন্ট কপি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এব্যাপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (কুলাউড়া সার্কেল) সাদেক কাওসার দস্তগির জানান, অফিসিয়ালি এরকম আবেদনের কপি আমাদের কাছে এখনও আসেনি। কপি পেলে তদন্ত স্বাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার ফারুক আহমেদ মুঠোফোনে জানান,সুদখোরের বিষয়ে ইতিমধ্যে অনেক তথ্য আমরা পেয়েছি। ডিআইজি স্যারের কাছে যিনি অভিযোগ দিয়েছেন সেই কপি ডিআইজি অফিস থেকে আমাদের কাছে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে পুলিশ সুদখোরের বিষয়ে সবসময় জিরো ট্রলারেন্স দেখাবে।
Posted ৬:৪২ অপরাহ্ণ | সোমবার, ২০ জানুয়ারি ২০২০
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.