স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় এক মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। চলছে শতাধিক বছরের দখলীয় বসতভিটা থেকে উচ্ছেদের পায়তারা।
স্থানীয় পুলিশের ভুমিকা নিয়েও ওই মুক্তিযোদ্ধা প্রশ্ন তুলেছেন। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ মানুষ এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
এর প্রতিবাদে শুক্রবার ২৯ নভেম্বর বাদ জুম্মা স্থানীয় পীরের বাজারে এক মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা ও এলাকাবাসী।
এতে বক্তব্য দেন হাজীপুর ইউনিয়ন কামান্ডার মুক্তিযোদ্ধা আয়ুব আলী, মুক্তিযোদ্ধা লুকেশ পাল, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল কুদ্দুস, মুক্তিযোদ্ধা সুন্দর মিয়া প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এলাকার প্রবীন মুরব্বি ও যুবকসহ বিভিন্নস্তরের লোকজন।
বক্তারা বলেন, স্বাধীনতা বিরোধীরা আবার সক্রিয় হয়ে উঠছে। যারা ৭১ এ স্বাধীনতা যুদ্ধে পাকিস্তানী সমর্থক ছিলো এবং এলাকায় পাকিস্তানী বাড়ি হিসেবে পরিচিত সেই বাড়ি লোকজন একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জমি জবর দখল করতে চায়। আমরা জেনেছি, পুলিশও নাকি তাদের সমর্থণ করে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে মামলা নিয়েছে। অবিলম্বে মামলা প্রত্যাহার করে মুক্তিযোদ্ধা তার পৈত্রিক ভিটায় নিরাপদে বসবাস করার ব্যবস্থা করতে পুলিশকে ব্যবস্তা গ্রহণ করতে হবে। নয়তো মুক্তিযোদ্ধারা প্রধানমন্ত্রীর কাছে বিষয়টি উত্থাপন করবেন। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে এখনও রাজাকার ও তাদের দোষররা একজন মুক্তিযোদ্ধাকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করতে চায়। এটা কোনভাবে মেনে নেয়া যায়না।
মুক্তিযোদ্ধা সিরাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে সরাসরি যারা পাকিস্তানী বাহিনীকে সহযোগিতা করেছে তাদের মামলায় আমার পরিবারের ষাটোর্ধ্ব মহিলাদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হচ্ছে। আর আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কালো টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।
কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের বিরুদ্ধে জমি জোরদখলের ও হামলার অভিযোগ রয়েছে।
উল্লেখ্য, কুলাউড়া উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের বাসিন্দা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়ার পিতা মৃত আব্দুর রহিমসহ বংশধরেরা যুগ যুগ ধরে পাবই মৌজার ৪১২১ দাগ সহ বিভিন্ন দাগে ৬.২৫ একর ভুমি ভোগ দখল ও ব্যবহার করে আসছেন।
এলাকায় পাকিস্তানী পাকিস্তানী বাড়ির মো. বদরুল ইসলাম মার্কেট বানানোর জন্য ২-৩ বছর যাবৎ রাস্তার পাশের ৭ শতাংশ জমি বিক্রির প্রস্তাব দেন। তার প্রস্তাবে মুক্তিযোদ্ধা মো. সিরাজ মিয়া রাজি না হলে মামরা দিয়ে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
Posted ৩:৩৪ অপরাহ্ণ | রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.