স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯ | প্রিন্ট
উপবন এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় আহত ও নিহতদের দেখতে কুলাউড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিড় করেন হাজারো মানুষ। সেখানে এসেছেন ওই ট্রেনে থাকা যাত্রীদের স্বজনেরা। এ সময় নিখোঁজ স্বজনের খোঁজে এসে অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন। তাদেরকে সান্ত¡না দিয়ে পাশে থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন কুলাউড়া পৌর কাউন্সিল মনজুর আলম চৌধুরী খোকন।
চিকিৎসা নিতে আসা আহতরা সেবা পেতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। একসাথে এতো আহতদের হাসপাতালের ইমারজেন্সি বিভাগে জায়গা দিতে হিমশিম খাচ্ছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তখন কাউন্সিলর খোকন নিজ উদ্যোগে ফার্মেসি থেকে আহতদের চিকিৎসার জন্য যাবতীয় ওষুধের ব্যয় বহন করেন। এবং স্বশরীরে সারারাত হাসপাতালে অবস্থান করে আহতদের চিকিৎসা দিতে ডাক্তারদের সাথে সহযোগিতা করেন।
মনজুর আলম চৌধুরী খোকন বলেন, যখন শুনলাম ট্রেন দুর্ঘটনা হয়েছে ঠিক তখন পৌর মেয়র সফি আলম ইউনুছ আমাকে বলেন- তাড়াতাড়ি সকল এ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনার জায়গায় যেন যায়। তখন নিজের অ্যাম্বুলেন্সসহ সরকারি বেসরকারি ১১টা অ্যাম্বুলেন্স ঘটনাস্থলে পাঠাই।
তিনি বলেন, হাসপাতালে ঢুকে ডিউটিরত ডাক্তারকে দুর্ঘটনার কথা জানিয়ে সব ডাক্তারকে কল করে উপস্থিত রাখার জন্য অনুরোধ করি। হাসপাতালের টিএইচও ডাঃ নুরুল হকের বাসায় ছুটে যাই। নুরুল হককে নিয়ে হাসপাতালে যাই। ঠিক তখন আহতদের আসা শুরু হয়। একটি গাড়িতে করে দুইজন আসেন ১ম জনকে ইমার্জেন্সিতে নিয়ে গেলে ডাঃ মৃত ঘোষণা করেন। তখন খুব কষ্ট পাই।
তিনি আরও বলেন, আহতদের জন্য যে ওষুধ লাগবে এগুলো ফার্মেসি থেকে এনে রাখি। আমরা দুজন গিয়ে প্রচুর ইনজেকশন নিয়ে আসলাম। এসব কিছু আগে থেকে ঠিকঠাক থাকায় দ্রুতগতিতে সকল রোগী খুব তাড়াতাড়ি চিকিৎসা সেবা পেয়েছেন। মানুষের বিপদে উপকার করতে পারায় আল্লাহ তায়ালার দরবারে হাজার শুকরিয়া।
সংবাদমেইল২৪.কম/নাজমুল/শরীফ
Posted ৮:০০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৭ জুন ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.