শুক্রবার ২৯ মার্চ, ২০২৪ | ১৫ চৈত্র, ১৪৩০

কুলাউড়ায় বখাটের প্ররোচনায় বিষপান করে  স্কুল ছাত্রী শাম্মীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০ | প্রিন্ট  

কুলাউড়ায় বখাটের প্ররোচনায় বিষপান করে  স্কুল ছাত্রী শাম্মীর আত্মহত্যা

কুলাউড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দুই বখাটের উৎপাত ও প্ররোচনায় বিষপানে শাম্মি আক্তার (১৫) নামক এক স্কুলছাত্রী ২৫ অক্টোবর রোববার রাত ১১টায় মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে মারা যায়।

নিহত শাম্মি আক্তার প্রতাবী অগ্রণী উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী। মৃত্যুর ২ দিন পর ২৭ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে নিহতের পিতা কুলাউড়া থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আত্মহত্যার প্ররোচনাকারী বখাটেরা রয়েছে পুলিশের ধরাছোঁয়ার বাইরে।


এদিকে স্কুলছাত্রী শাম্মির অকাল মৃত্যুর ঘটনায় গোটা এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এলাকায় বিরাজ করছে শোকের ছায়া।

মামলার এজাহার ও স্থানীয় লোকজন জানায়, সদর ইউনিয়নের করেরগ্রামের বাসিন্দা কালা মিয়ার মেয়ে শাম্মি আক্তার (১৫) স্কুলে যাওয়ার আসার সুবাধে পাশর্^বর্তী শংকরপুর গ্রামের বকুল মিয়ার পুত্র সিএনজি চালক বখাটে রিজন প্রেমের প্রস্তাব দিত। কিন্তু শাম্মি প্রেমে রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন কৌশলে রিজনের বন্ধু শাম্মির প্রতিবেশী নুরুল মিয়ার সহযোগিতায় শাম্মির সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। রিজন প্রায়ই শাম্মিকে নানাভাবে উত্যক্ত করতো। শাম্মির পরিবার সেই প্রেমের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। বখাটের সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করতে শাম্মিকে চাপ দেয়।


কিন্তু বখাটে রিজন এতে ক্ষিপ্ত হয় উঠে এবং বিয়ের প্রস্তাব দেয় শাম্মির পরিবারের কাছে। পরিবার তা মেনে না নিলে এক পর্যায়ে বখাটে রিজন বিষ খেয়ে মরার জন্য শাম্মিকে প্ররোচনা দেয়। ঘটনার দিন ২৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় রিজন শাম্মির সাথে মোবাইল ফোনে ২৮ মিনিট কথা বলার পরেই শাম্মি বিষপান করে। শাম্মির বিষপানের খবর তার পরিবার না জানলেও রিজনের বন্ধু নুরুল মিয়া শাম্মির দাদিকে বিষয়টি অবহিত করে। এরপর শাম্মির পরিবার ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে শাম্মিকে কাতরাতে দেখে সাথে সাথে তাকে কুলাউড়া হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। সেখানে রাত সাড়ে ১১ টায় শাম্মি মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় নিহত শাম্মির পিতা কালা মিয়া বাদি হয়ে শংকরপুর গ্রামের বকুল মিয়ার পুত্র রিজন আহমদ (২১) ও তার সহযোগী করেরগ্রামের মইনুল মিয়ার পুত্র নুরুল ইসলাম (১৮) কে আসামী করে কুলাউড়া থানায় মঙ্গলবার ২৭ অক্টোবর রাতে আত্মহত্যার প্ররোচনায় মামলা (নং ১৮) দায়ের করেন।


মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার এসআই মাসুদ আলম ভ্ইুয়া জানান, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির সময় নিহতের ব্যবহৃত জামার ভেতর থেকে তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল ফোন উদ্বার করা হয়েছে।

কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ ইয়ারদৌস হাসান জানান, নিহতের পরিবারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে আত্মহত্যার প্ররোচনায় বিষয়ে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ১০:৩০ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২০

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত