স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ও রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ফানাই নদীর খনন কাজ ও ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে এলাকাবাসী ইউএনও’র কাছে পৃথক দুটি আবেদন করেছেন। একটি হচ্ছে নদী খননের নামে মনগড়া সীমানা নির্দারণ করে উচ্ছেদ নোটিশ এবং অন্যটি হচ্ছে পরিকল্পিতভাবে ব্রিজ জন্য।
উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগে জানান, ফানাই নদীটি মুলত হাড়ারগজ পাহাড় থেকে উৎপত্তি হয়ে প্রথমে কর্মধা ইউনিয়ন এবং পরবর্তীতে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে ব্রাহ্মণবাজার ও ভুকশিমইল ইউনিয়ন হয়ে হাকালুকি হাওরে মিলিত হয়েছে। নাম ফানাই নদী হলেও মুলত এটি একটি পাহাড়ী ছড়া।
চলতি বছর হাকালুকি হাওর থেকে শুরু নদীটি খনন ও প্রতিরক্ষা বাঁধ মেরামত শুরু করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। খনন কাজ ও প্রতিরক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে কর্মধা ইউনিয়ন পর্যন্ত। ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের কাকিচার থেকে কর্মধা ইউনিয়নের নলডরি পর্যন্ত। উভয় তীরের প্রতিরক্ষা বাঁধসহ নদীর প্রস্থ ধরা হয়েছে ১১০ ফুট। অথচ বিগত সেটেলেমেন্ট (ভুমি) জরিপকালে নদীর প্রস্থ রাখা হয় ৫০ ফুট। হঠাৎ করে পানি উন্নয়ন বোর্ড কোনধরণের নোটিশ কিংবা স্ক্যাচ ম্যাপ দিয়ে জরিপ না করে তাদের মনমত লাল রঙয়ের খুটি বসিয়ে চলে যায়। উক্ত খুটির ভেতরে বসতি ও দখলীয় জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়। এতে অনেক মানুষ ক্ষতির সম্মুখীন হবে। অনেক গরীব ও দরিদ্র মানুুুুুুষ তাদের বসতভিটা হারাবে। শুধু ঘরবাড়ি নয় গাছপালাও ব্যাপকহারে ক্ষতিগ্রস্থ হবে।
এলাকাবাসীর দাবি সরেজমিন তদন্তক্রমে নদীর জমি অধিগ্রহণ করার। যাতে অসহায় মানুষ ক্ষতির শিকার না হয়।
এদিকে রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজী ও মুকুন্দপুর গ্রামের মধ্যস্থলে ফানাই নদীর উপর একটি ব্রিজ নির্মাণের জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এলাকাবাসী খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, যে স্থানে ব্রিজটি প্রস্থ মাত্র ৩৮ ফুট। কিন্তু যে স্থানে ব্রিজটি নির্মিত হবে সেখানে নদীর বর্তমান প্রস্থ ৫০ ফুট। ফলে ৩৮ফুট প্রস্থ ব্রিজ নির্মিত হলে বর্ষাকালে পাহাড়ী ঢলে হয় ব্রিজের ক্ষতি হবে নতুবা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে প্রতিরক্ষাবাঁধ ভেঙে আশপাশ এলাকা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। ফানাই নদীরে উপরিভাগে যেসব ফুট ব্রিজ নির্মিত হয়েছে সবক’টির প্রস্থ ৬০ ফুট।
এলাকাবাসীর দাবি ব্রিজটি নির্মাণের আগে তদন্ত করে ৩৮ ফুটের পরিবর্তে কমপক্ষে ৬৫ ফুট প্রস্থ ব্রিজ নির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।
স্থানীয় রাউৎগাঁও ইউনিয়নের কবিরাজি গ্রামের মানিক মিয়া,বাতির মিয়া,রাসেল আহমদ,মুকন্দপুর গ্রামের বিনদ মালাকার বলেন, বর্তমানে যে ব্রীজটির বরাদ্ধ দেয়া হয়েছে তা বাতিল করে সরজমিনে তদন্ত করে ৬৫ ফুট প্রস্থ ব্রীজ নতুন বরাদ্ধ দেয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি।
এব্যাপারে রাউৎগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল জামাল মুঠো ফোনে বলেন,যে ব্রীজটি নির্মাণের জন্য বরাদ্ধ এসেছে সেটা হয়ে গেলে ভালো। প্রয়োজন হলে পরবর্তীতে তা পূনরায় পূর্ণনির্মাণ করা হবে।
এব্যাপারে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এটিএম ফরহাদ চৌধুরী জানান, কর্মধা ইউনিয়নবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে আগামী ১২ ডিসেম্বরের পরে পানি উন্নয়ন বোর্ড সরেজমিন নদী জরিপ করে সীমানা নির্ধারণ করে দেবে এবং তাদের নদী খনন কাজ করবে। আর ব্রিজ নিয়ে রাউৎগাঁও ইউনিয়নবাসীর আবেদন পেয়েছি। যে ব্রিজটি নির্মাণ হওয়ার কথা তা নদী খনন প্রকল্প গ্রহণের আগের মাপ। নতুন করে সঠিকভাবে মাপ দিয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে।
Posted ৫:১২ অপরাহ্ণ | শনিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.