বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) দৃষ্টতা নিয়ে জনমনে ব্যাপক ঘৃণা ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কেননা ২৯ মে প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-০২ আবু জাফর রাজুর নিজ বাসভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। কিন্তু সেই ইফতার মাহফিলে অংশ না নিয়ে তড়িগড়ি করে উল্টো কুলাউড়ার রাজস্ব শাখার ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার আবু জাফর রাজু।
জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর প্রটোকল অফিসার-০২ মো. আবু জাফর রাজু সিলেট ও মৌলভীবাজারে ৯ দিনের সরকারি সফরে আসেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে সরকারী সফরের প্রজ্ঞাপন জারি হয় ২৬ মে। যা উপজেলা ও জেলা প্রশাসনের কাছে আগেই পৌঁছে যায়। সফরের অংশ হিসেবে ২৯ জুন নিজ বাসভবনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছাসহ ১৫ আগস্টে নিহতদের স্মরণে এবং রাজুর বাবা মা দাদা দাদি স্মরণে মিলাদ, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সেই ইফতার মাহফিলে প্রশাসনসহ কুলাউড়ার রাজনৈতিক দল ও ব্যক্তিবর্গকে দাওয়াত করা হয়। তবে কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ইয়ারদৌস হাসান ইফতারের পূর্র্বে প্রটোকল অফিসারের বাড়ীতে গিয়ে দেখা করে এসিল্যান্ডের আয়োজিত অফিসে ইফতারের দাওয়াতে যোগদানের জন্য বিদায় নিয়ে চলে যান।
ইফতার মাহফিলে বক্তব্য রাখেন সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মতিন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ সদস্য ও কমলগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক রফিকুর রহমান, কুলাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম রেনু, প্রটোকল অফিসার-২ মোঃ আবু জাফর রাজু, কুলাউড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম প্রমুখ। ইফতার অনুষ্টানে বিভিন্ন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বার,সাংবাদিক,শিক্ষক ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবু সায়হাম রুমেল বলেন-‘ রাজস্ব শাখার ইফতার মাহফিল আয়োজন এসিল্যান্ড একদিন পরেও করতে পারতেন। এতেই সুন্দর হতো। যেহেতু একটা সরকারী সফরের অংশ হিসেবে ইফতার ছিলো,এসিল্যান্ড বিষয়টি নজরে রাখা উচিত ছিলো বলে মনে করি।’
এসিল্যান্ডের পাল্টা ইফতার প্রসঙ্গে কুলাউড়া উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রেনু- ‘যেহেতু এটা সরকারী সফরের অংশ হিসেবে ইফতার মাহফিল, সেখানে এসিল্যান্ড না গিয়ে কিভাবে আরকেটি ইফতারের আয়োজন করলেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। এটা কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। সমন্বয় করে করা উচিত ছিলো।’
কুলাউড়ার সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আসম কামরুল ইসলাম বলেন-‘আমরা সবাইকে দাওয়াত করেছি। শুনেছি আচমকাই এসিল্যান্ড এক ইফতারের আয়োজন করেছেন।’
এ প্রসঙ্গে কুলাউড়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ বলেন-‘আমি কেনো যাইনি সেটা আপনাকে বলতে হবে, আমি যাইনি আমার এখানে প্রোগ্রাম ছিলো।’
Posted ১০:৩২ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.