নিজস্ব প্রতিবেদক,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯ | প্রিন্ট
কুলাউড়ায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের গ্রামীন অবকাঠামো ও রক্ষাবেক্ষন কর্মসূচীর আওতাভূক্ত টি. আর. (টেষ্ট রিলিফ), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) এবং এলজিএসফি বরাদ্দকৃত মোট ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা কাজ না করেই উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। এমনকি প্রকল্পের কাজ অসস্পূর্ণ রেখেই টাকা ভাগ-বাটোয়ারা করছেন সংশ্লিষ্ট জনপ্রতিনিধিরা। স্থানীয় সংসদ সদস্যের আওতায় ৫টি প্রকল্পের কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। নামে প্রকল্প থাকলেও বাস্তবে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না দৃশ্যমান কাজ।
এ নিয়ে কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে বুধবার (৯ অক্টোবর) কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের পক্ষে এলাকাবাসী অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর প্রকল্প অফিসার শিমুল আলীকে সাথে নিয়ে প্রতাবী অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা ভরাট এবং খেলার মাঠ ভরাটে মোট ৩৩ মেট্রিক টন বরাদ্দের দু’টি প্রকল্প পরিদর্শন করেছেন ইউএনও।
বরাদ্দকৃত ওই প্রকল্পগুলো টাকার অঙ্কে মোট ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা বলে জানা যায়। প্রকল্পের কাজ অসম্পূর্ণ রেখেই টাকা নিজেরা ভাগ-বাটোয়ারা করছেন সংশ্লিষ্টরা এমনটা অভিযোগ করছেন স্থানীয়রা। জানা যায়, বিদায়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবুল লাইছ ও প্রকল্প কর্মকর্তা শিমুল আলী ওই প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অনুমোদন প্রদান করেন। অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের দু’টি প্রকল্পের সভাপতি কুলাউড়া সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ শাহাজাহান।
এদিকে অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, প্রতাবী অগ্রনী উচ্চ বিদ্যালয়ের আঙ্গিনা মাটি ভরাট কাজে ২১ মেট্রিক টন বিপরীতে ৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকা, একই প্রতিষ্ঠানের খেলার মাঠের উত্তর পাশ মাটি ভরাট কাজে ১২ মেট্রিক টনের বিপরীতে ৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকা, বনগাঁও-২ হোছনা বেগমের বাড়ীর পাশের রাস্তা মেরামত বাবদ ৫০ হাজার টাকা, ঝিমাই হতে বালাইমা পুঞ্জির রাস্তা মেরামত বাবদ ৫০ হাজার ও প্রতাবী ঝন্টুর বাড়ী হতে মসজিদ পর্যন্ত ইট সলিং ৫০ হাজার টাকাসহ মোট ১২ লক্ষ ৭২ হাজার টাকা কাজ সম্পন্ন না করেই উত্তোলন করা হয়েছে। উত্তোলনের টাকা দায়িত্বপ্রাপ্তরা আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়।
একদিকে দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানিয়েছে- গ্রামীণ দরিদ্র মানুষের দুর্দশা লাঘবে সরকারের টি.আর. (টেস্ট রিলিফ), কাজের বিনিময়ে টাকা (কাবিটা) কর্মসূচিতে বরাদ্দ অর্থের বেশ অর্ধেকই চলে গেছে কুলাউড়ার এক প্রভাবশালীর পেটে। আর এ কাজে সর্বোচ্চ সহায়তা করেছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসার (পিআইও) শিমুল আলী। তিনিও পেয়েছেন একটি অংশ।
কাজ সম্পন্ন না করে কিভাবে টাকা উত্তোলন হলো এ বিষয়ে জানতে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শিমুল আলীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ টি এম ফরহাদ চৌধুরী জানান- আগামী রবিবার কাজ সম্পন্ন করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি আমায় দিয়েছেন। আর বাকী প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করবো। কাজ সম্পন্ন না করে টাকা উত্তোলন প্রসঙ্গে ইউএনও আরও বলেন-‘এটা আমি দেখবো। পিআইও আমার সাথে ছিলেন।’
Posted ৫:১৬ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০১৯
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.