মঙ্গলবার ১৯ মার্চ, ২০২৪ | ৫ চৈত্র, ১৪৩০

কুলাউড়ায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে এসিল্যান্ডের গড়িমশি

বিশেষ প্রতিনিধি,সংবাদমেইল২৪.কম | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯ | প্রিন্ট  

কুলাউড়ায় অবৈধ স্থাপনা অপসারণে এসিল্যান্ডের গড়িমশি

কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মণবাজারে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা (বাড়ি) নির্মাণ ও জবর দখলকৃত সরকারি নলকূপ অপসারণে সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিউর রহিম জাদিদের ভুমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসকের রাজস্ব শাখা থেকে ২০১৮ সালে এবং গত ০৫ মে সরেজমিন তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলেও রহস্যময় কারণে তিনি সেই প্রতিবেদনও দিচ্ছেন না। মৌলভীবাজার অতিরিক্ত জেলা প্রসাসক(সার্বিক) এব্যাপারে দখলকারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বার বার এসিল্যান্ডকে নির্দেশ দিলেও তিনি তা কর্নপাত করছেন না।

এদিকে অবৈধ জবর দখলকারীকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের একাধিক নোটিশ দিলেও কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেননি রহস্যময় কারণে। সহকারি কমিশনার (ভূমি) উক্ত স্থানে অনেকেই জবর দখল করে আছে বলে জানালেও বাস্তবে কোন দখলকারীর বিরুদ্ধে উচ্ছেদে যাচ্ছেন না।


উপজেলার ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের লামাপাড়া গ্রামের খালিক মিয়া ও অর্ধশত গ্রামবাসী মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন, একই গ্রামের আলাই মিয়া ও হালিমা বেগম নবীনগর মৌজার ৯৭৬৮ দাগের ০৩ শতক জমি জবর দখল করে অবৈধভাবে গৃহ নির্মাণ করেন। এছাড়া উক্ত স্থানে সরকারি একটি নলকূপ ব্যক্তিগত দখলে নিয়ে এলাকাবাসীকে সুপেয় পানির ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন। ব্রাহ্মণবাজার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. মমদুদ হোসেন তদন্তক্রমে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেন।

লিখিত আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের রাজস্ব মুন্সিখানার শাখার সহকারি কমিশনার মাসুমা জান্নাত ২০১৮ সালের ২৭ নভেম্বর কুলাউড়া সহকারি কমিশনার (ভূমি) সরেজমিন তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দেন। কিন্তু চাহিত প্রতিবেদন না দেয়ায় এবং এলাকাবাসী ১৫ এপ্রিল জেলা প্রশাসকের কাছে আরেকটি অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসকের একই শাখা থেকে ০৫ মে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্তক্রমে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য পুনরায় নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়।


এদিকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. সাদি উর রহিম জাদিদ অবৈধ দখল অপসারণে নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশে ০৭ কর্মদিবসের মধ্যে ভূমিতে অবৈধ দখল ও নির্মিত স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ দেন। বর্নিত সময়ের মধ্যে ভূমির অবৈধ দখল ত্যাগ ও স্থাপনা অপসারণ করা না হলে, পরবর্তীতে উচ্ছেদ কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। সেই নোটিশের ৩ মাস অতিবাহিত হওয়ার পরও রহস্যময় কারণে আর কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন, নিশ্চয় সহকারি কমিশনার অবৈধ সুবিধা পেয়েই কোন কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। তাছাড়া অভিযোগকারিরা অফিসে যোগাযোগ করলে তাকে কাজ করতে দিচ্ছেন না বলে তাদের উল্টো ধামকি দেন।


কুলাউড়ার সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাদিউর রহিম জাদিদ জানান, ওই জায়গায় অনেকেই বেদখল করে আছে। দখলকারীকে নোটিশ দেয়ার পর সে এসে আদালতে তার নাকি একটা স্বত্ত্ব মামলা রয়েছে বলে জানায়। ওই মামলার রায়ের পর উচ্ছেদ করার অনুরোধ করেছে। ওই এলাকায় সরকারি জায়গা অনেকেরই অবৈধ দখলে রয়েছে। তবে বাদি শুধু নলকুপ জবরদখল থেকে মুক্ত করার জন্য বলছে। আমি একটা নলকূপের জন্য ব্রাহ্মণবাজারে উচ্ছেদে যেতে পারি না। সামনে বাজার জরিপ আছে সেদিন দেখবো কি করা যায়?

এ ব্যাপারে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আশরাফুল আলম খান মুঠো ফোনে জানান, একাধিকবার বলার পরও কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ না করায়, আমি নিজেই এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবো। শিগগিরই সরেজমিন যাবো।

Facebook Comments Box

Comments

comments

advertisement

Posted ৫:২৩ অপরাহ্ণ | বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০১৯

সংবাদমেইল |

এ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

advertisement
advertisement
advertisement

এ বিভাগের আরও খবর

সম্পাদক ও প্রকাশক : মো. মানজুরুল হক

নির্বাহী সম্পাদক: মো. নাজমুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক : শরিফ আহমেদ

কার্যালয়
উপজেলা রোড, কুলাউড়া, মেলভীবাজার।
মোবাইল: ০১৭১৩৮০৫৭১৯
ই-মেইল: sangbadmail2021@gmail.com

sangbadmail@2016 কপিরাইটের সকল স্বত্ব সংরক্ষিত