স্টাফ রিপোর্টার,সংবাদমেইল২৪.কম | শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১ | প্রিন্ট
কুলাউড়া উপজেলার ব্রাহ্মনবাজারে একটি হাই স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় তন্তমন্ত্র প্রয়োগ করে প্রধান শিক্ষক পদে অংশগ্রহণকারী আতিকুর রহমান সোহেল কে তাবিজাত করার ফলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। ঘটনার মুল হোতা স্কুলের নাইট গার্ড বিপুল বিশ্বাসকে পুলিশ আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে ও স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মনবাজার ইউনিয়নের শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ২৩ জানুয়ারী শনিবার সকালে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মনবাজার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শূন্য প্রধান শিক্ষক পদে পূর্বনির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী ওই দিন সকালে প্রধান শিক্ষক পদে ৫ জন ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে মোট ১০ জন প্রার্থী নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য উপস্থিত হন। নিয়োগ পরীক্ষা শুরুর কিছুক্ষণ আগ মুহূর্তে প্রধান শিক্ষক পদে প্রার্থী মহতোছিন আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান সোহেল অফিসে ঢুকার সময় স্কুলের নাইট গার্ড শ্রীপুর লামাপাড়া এলাকার বাসিন্দা বিপুল বিশ্বাস (৪৮) হঠাৎ অতর্কিতভাবে মাথায় তাবিজ বুলিয়ে দেয়ার সাথে সাথে প্রার্থী সোহেলের শরীরে কম্পন শুরু হলে তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন।
পরে তাকে সাথে সাথে স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে ব্রাহ্মনবাজার মুসলিম এইড হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে সিলেটে প্রেরণ করা হয়। উক্ত ঘটনার পর পর এলাকায় তীব্র উত্তেজনা দেখা দেয়। খবর পেয়ে কুলাউড়া অফিসার ইনচায ওসি বিনয় ভূষন রায়ের নেতৃত্বে পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে পৌঁছে নাইড গার্ড বিপুল বিশ্বাসকে আটক করে থানায় নিয়ে আসেন। পরে এ ঘটনার প্রেক্ষিতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আনোয়ার শ্রীপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সহকারী প্রধান শিক্ষক পদের সকল নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।
আটক বিপুল বিশ্বাস বলেন, সোহেল স্যার আমার খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তিনি আমার কাছে নিয়োগ পরীক্ষার জন্য আশির্বাদ চেয়েছিলেন। আমি তাকে ধর্ম ও প্রভূর দোহাই দিয়ে তাবিজ দিয়ে আশির্বাদ করতে উনার শরীরে স্পর্শ করি। তখন দেখতে পাই, তিনি অসুস্থতা বোধ করছেন। আমি কোন খারাপ উদ্দেশ্যে কিছু করিনি।
প্রধান শিক্ষক পদে অংশগ্রহণকারী আতিকুর রহমান সোহেল জানান,তিনি যাতে নিয়োগ পরিক্ষায় অংশগ্রহন না করতে পারেন সে জন্য একই পদে অন্য প্রার্থী জালালাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুল হাইয়ের ভাতিজা ফার্মসিস্ট মোঃ ইব্রাহিম ও নাইটগার্ড বিপুল এর যোগসাজশে আমার সাথে এই কান্ড ঘটাতে পারে। এই ঘটনার পেছনে কারা জড়িত সেই মূলহোতাকে চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনার প্রশাসনের প্রতি জোর দাবী জানাচ্ছি।
কুলাউড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. আনোয়ার জানান, পরিস্থিতি ঘোলাটে হওয়ায় আপাতত শিক্ষক নিয়োগ স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পুনরায় শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।
Posted ১০:২৮ অপরাহ্ণ | শনিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২১
সংবাদমেইল | Nazmul Islam
.
.